Category তর্ক-বিতর্ক

শেরে বাংলা উর্দুকে বাঙালি মুসলমানদের শিক্ষার মাধ্যম করতে চেয়েছিলেন

(১৯৩৯ সালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম এডুকেশন কনফারেন্সে প্রদত্ত ভাষণ) উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার কারণে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মুসলিম লীগ নেতা খাজা নাজিমুদ্দিন এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছিল এবং বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন শুরু করেছিল, তা ক্রমে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে এবং শেষপর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচণ্ড সংগ্রামের রূপ নিয়েছিল। কিন্তু শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৩৯ সালে যখন বঙ্গীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, তখন অবিভক্ত বাংলায় বাঙালি মুসলমানদের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে উর্দু চালু করার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।  ১৯৩৯ সালের ২৯-৩১ সেপ্টেম্বর কলকাতার মোহাম্মদ আলী পার্কে অল ইন্ডিয়া মুসলিম এডুকেশনাল কনফারেন্সের ৫২তম বার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত সভাপতির ভাষণে শেরে বাংলা ফজলুল হক বলেন, “আমি জানি, বাংলার মুসলমানসহ অনেকে চান যে স্কুলে উর্দু বাধ্যতামূলক করা হোক। কিন্তু বর্ণহিন্দুদের একাধিপত্যবাদী গোষ্ঠী, যারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে পৈতৃক উত্তরাধিকারে পরিণত করেছে এবং বাঙ্গলার স্কুলের পাঠ্যক্রমের উপর আধিপত্য বিস্তার করে আছে, তারা চায় না মুসলমানদের এই ইচ্ছা পূরণ হোক। যেখান থেকে উর্দুর বিরোধিতা হচ্ছে তা দূর করা হলে বাংলায় মুসলমানদের জন্য উর্দুকে একটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে জারি করার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।” উর্দুতে দেওয়া শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ভাষণের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো। তাঁর ভাষণ বাংলায় অনুবাদ করেছেন কাজী একরাম   ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,  আমি, বাংলার মুসলমানদের পক্ষ থেকে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম এডুকেশনাল কনফারেন্সের এই ৫২ তম…