Category অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দুর্যোগের ঘনঘটা

আবদুল আউয়াল মিন্টু যেকোনো দেশের অর্থনীতির বর্তমান হালচাল বিচার করতে গেলে, প্রথমেই যেসব বিষয় সামনে চলে আসে তা হলো- সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন নির্দেশক, বাজার ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক নীতিমালাসমূহ। সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ‘সার্বিক চাহিদা’ বা অর্থনৈতিক পরিভাষায় ‘জিডিপি’ অথবা ‘সার্বিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন’ বৃদ্ধি করা। অতপর এ লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ নীতি প্রণয়ন, প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো। বেসরকারি ভোগ ও সরকারের ব্যয় সার্বিক চাহিদার সাথে সম্পর্কিত দু’টি অপরিহার্য অঙ্গ-উপাদান। সামষ্টিক অর্থনীতির আরো একটি অন্যতম প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো- মূল্যস্ফীতিকে স্থিতিশীল, নিম্নমুখী ও নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ উদ্দেশ্য অর্জনে জরুরি বিষয় হলো, সার্বিক মোট চাহিদাকে একটি নির্দিষ্ট সীমা বা গণ্ডির মধ্যে ধরে রাখা। তবে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এসব অঙ্গ-উপাদানের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, পরিকল্পনামাফিক চাহিদা বাড়ানো, যাতে করে দেশের অব্যবহৃত সম্পদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করা যায়। একই সাথে, দেশের সম্ভাব্য উৎপাদন সামর্থ্যকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়। মোটকথা হলো, সামষ্টিক অর্থনীতির নির্দেশকগুলোকে একটির সাথে অপরটির সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের জন্য ক্রমাগত ভাবে সম্পদ সৃষ্টি ও বৃদ্ধি করা। মূল্যস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনীতির অন্য সব নির্দেশকই নিরন্তর পরিবর্তনশীল। এগুলো একটির সাথে অপরটি পরস্পর সম্পর্কিত ও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই সরকার যদি সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো বিশেষ নির্দেশকের লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, যেমন- জিডিপির দ্রুত প্রবৃদ্ধি, তাহলে অন্য নির্দেশকগুলোকে অবশ্যই যুগপৎ বিবেচনায় নিতে হবে। তবে সামষ্টিক অর্থনীতির হালচাল বিশদভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে…