অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

ডা. ওয়াজেদ খান 

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিতান্তই আপেক্ষিক। রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক আচরণে কতোটা অভ্যস্থ; আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তি কতোটা মজবুত; মানবিক মর্যাদা বোধের সার্বিক মুল্যায়নের উপর নির্ভর করে বিষয়টি। এসবের অভাবে আধুনিক তথ্য প্রবাহের যুগেও হোঁচট খায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। ফলে দেশে দেশে সাংবাদিকরা নিপীড়ন, নির্যাতন ও গুম-হত্যার শিকার হচ্ছেন। রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস’র তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে বিশ্ব জুড়ে ৫০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সর্বশেষ সাংবাদিক নির্যাতনের নজিরবিহিন ঘটনা ঘটেছে ইউরোপে। বেলারুশ সরকারের সমালোচনা করায় দেশটির সাংবাদিক রোমান প্রোতোসেভিচকে লিথুনিয়াগামী বিমান থেকে নামিয়ে নিয়েছে। এজন্য বেলারুশের আকাশ সীমায় বিমানটিকে জরুরী অবতরণে বাধ্য করা হয় বোমা বহনের মিথ্যা অভিযোগে।

অপরদিকে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ও কারাবরণ করতে হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। প্রথম আলো’র সিনিয়র ও অনুসন্ধানী রিপোর্টার রোজিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট করেছেন সম্প্রতি। এসব কারণে মন্ত্রণালয়টির বিরাগভাজন আমলাদের কড়া নজরদারিতে ছিলেন রোজিনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরো অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে সম্প্রতি সচিবালয়ে গেলে তাকে আটকে ফেলেন আমলারা। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ধরে চলে নির্যাতন তার উপর। এমনকি আক্রোশ থেকে চেষ্টা করা হয় রোজিনার কন্ঠরোধের। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হন রোজিনা। মামলা, থানা হাজতের পর তার গন্তব্য হয় কাশিমপুর কারাগার। রোজিনা ইসলামের সাথে রাষ্ট্রীয় এ ধরণের আচরণ নূতন কিছু না হলেও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সাংবাদিক সমাজ রুখে দাঁড়ায় এ ঘটনার প্রতিবাদে। রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হোন বিভক্ত সাংবাদিক সমাজ। দেশের গন্ডী পেরিয়ে সংবাদটি দ্রুত চাউড় হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে সরকার। শেষ পর্যন্ত আদালত বাধ্য হয় রোজিনা ইসলামকে জামিন দিতে। দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রাতিষ্ঠানিকতা না পাওয়ায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ খ্যাত সংবাদ মাধ্যম বরাবরই পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। স্বাধীনতা লাভের তিন বছরের মাথায় ‘৭৫ এর ১৬ জুন সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় দেশের সংবাদ মাধ্যম। তখন মাত্র চারটি সংবাদপত্র ও একটি টিভি চ্যানেল চালু রাখা হয়। যার সবকটিই ছিলো সরকারি নিয়ন্ত্রনাধীন। পরবর্তীতে বিগত বিভিন্ন কিসিমের সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। কিন্তু সাংবাদিকরা কখনোই মুক্ত হতে পারেনি অদৃশ্য বেড়ি থেকে।

সময়ের ব্যবধানে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ততোদিনে কয়েক হাজার পত্রিকা এবং অর্ধশতাধিক টিভি চ্যানেল অনুমতি পেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে। বাংলাদেশে সাতটি টিভি চ্যানেলই যেখানে যথেষ্ট সেখানে অনুমতি রয়েছে ৪৯টি টিভি চ্যানেল। যার সবকটিই অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। দেশে এতো সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টাল থাকা সত্ত্বেও নাগরিকরা বঞ্চিত সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ থেকে। ফলে ঘটমান অনেক সংবাদ স্থান করে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে। পাকিস্তানী শাসনামলে মানুষ দেশীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতি ছিলো সম্পূর্ণ আস্থাহীন। তারা বিশ্বাস করতেন বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা ও ভয়েচেভেলের সংবাদগুলো। এখনো মানুষ সেদিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশী মিডিয়াগুলো পারছে না দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে। নানা কারণে ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে সত্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্র। এজন্য সবচেয়ে বড় দায় রাষ্ট্র ও মিডিয়া মালিকদের। তবে সাংবাদিকরাও কম যান না। ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সকল এবং পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে জনগণ। কিন্তু ক্ষমতাবানদের স্বার্থের কারণে জনগণ এহেন অধিকার থেকে বঞ্চিত। উল্টো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের কালা কানুন জারি করে চেষ্টা চালানো হয় সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধের। সরকার প্রণীত ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এমনি একটি কালো আইন। যার গ্যাড়াকলে পড়তে হচ্ছে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে। নুতন এই আইনের কুফল ইতোমধ্যেই ভোগ করছেন সাংবাদিকরা। এর সাথে যুক্ত হলো আরো একটি ধারা” অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট।” শতবর্ষী এই আইনের প্রথম প্রয়োগ হলো সাংবাদিক রোজিনার উপর। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভিন্ন মাত্রিক উপহার। “ভারত ছাড় আন্দোলন”কালীন যে আইন দেশীয় আমলা কেরানীদের জন্য প্রণয়ণ করে বিট্রিশরা, সেই আইনে ফাঁসানো হলো রোজিনাকে। এসব কালা কানুন হলো সরকারী অস্ত্র।

আবার এক শ্রেনীর সাংবাদিকও জ্ঞাত-অজ্ঞাতসারে ব্যবহৃত হচ্ছেন সরকারের হাতিয়ার হিসেবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি এবং বৈষয়িক সুযোগ সুবিধার লোভে অনেক সাংবাদিক নিজেদের বিপক্ষেই দাঁড়াচ্ছেন নিজেরা। অন্ধভাবে নিজ সমর্থিত সরকারের গাইছেন ছাপাই। তোষামোদ প্রিয় এসব সাংবাদিকদের ব্যক্তি বন্দনায় অনেক সময় কর্তা ব্যক্তিরাও বিব্রতবোধ করেন। হয়ে পড়েন শরমিন্দা। এরাই সংবাদ হন্তক। এই শ্রেনীর নতজানু সাংবাদিকতা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে বড় ধরণের অন্তরায়। অপরদিকে যারা সাহসী ও নির্মোহ সাংবাদিক তারা এখনো সুযোগ পেলেই ছুটছেন সত্য তথ্য ও তত্ত্ব তালাশে। নিজের জীবন বাজি রেখে অনুসন্ধান করছেন অপরাধকর্ম, দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য।

রোজিনা ইসলাম এমনি একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই নারী সাংবাদিক ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন দুঃসাহসের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ আরো কয়েকটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট তিনি করেছেন জনস্বার্থে। তার মতো অনেক অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক আছেন মিডিয়ায়। যাদের সাহসী সাংবাদিকতার কারণে সরকার, করপোরেট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধ কর্ম সম্পর্কে জানতে পারছে জনগণ। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা বা সোর্সরা পালন করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সত্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে প্রায়শই সাংবাদিকদেরকে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় নিজ মিডিয়া হাউজ থেকে। বাংলাদেশের মিডিয়ার মালিকদের অধিকাংশই করপোরেট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।
মিডিয়াকে তাদের অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন বর্ম হিসেবে। ক্ষমতার লোভ ও ব্যবসায়িক স্বার্থে সরকারকে ঘাটাতে চান না তারা। এছাড়া সরকারের পরোক্ষ দলন নীতি মিডিয়া সংকোচনের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। সম্প্রতি আল জাজিরার “অল প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান” অনুসন্ধানী রিপোর্টটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমন একটি রিপোর্ট নিয়েও বাংলাদেশের কোন কোন দলবাজ সাংবাদিক ব্যঙ্গ-বাহাস করেছেন টক শো’তে। অথচ প্রায় এক দশকেও সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তারা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অভাবে ছিন্নমূল মজনুকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আজীবন কারাগারে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই বলেই মুনিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা পড়ে যাচ্ছে ধামাচাপা। উল্টা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্থান দখল করেছে র‌্যাব-পুলিশের মিডিয়া ট্রায়াল। ঘটনার অন্তরালে আসলেই কি ঘটেছে তা নিয়ে এখন আর কোন অনুসন্ধান করতে চানং না সাংবাদিকরা। র‌্যাব পুলিশের বয়ানকেই তারা করছেন সংবাদের প্রতিপাদ্য। ফলে অনেক নিরপরাধ মানুষ ফেঁসে যাচ্ছে। অপরদিকে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এভাবেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ঘটছে অপমৃত্যু।

সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধানী সাংবাদিক অপরিহার্য। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণেই বিভিন্ন সমাজ ও দেশ অন্ধকার থেকে দেখেছে আলোর মুখ। স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। করপোরেট অনিয়ম, গুরুতর অপরাধ ও রাজনৈতিক দুর্নীতির ঘটনা উঠে এসেছে জন সম্মুখে। অপরাধীদের হতে হচ্ছে বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি। এজন্য সাংবাদিককে বাজি রাখতে হয়েছে নিজ জীবন। ভোগ করতে হয়েছে জেল জুলুম নির্যাতন। সাত ধরণের সাংবাদিকতার মধ্য তাই প্রথমেই স্থান পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জনক হচ্ছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ডব্লিউ টি স্টিভ। যুবতী মেয়েদের পতিতালয়ে পাচারের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে ১৮৮৫ সালে কারা বরণ করতে হয় তাকে। অপরদিকে মাকরেকারসই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। ১৮৯০ সাল থেকে ‘১৯২০ সাল পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প বিপ্লবের যুগে উত্থান ঘটে মাকরেকার্স সাংবাদিকতার। মাকরেকার হলো জলজ পাখী কাদা খোঁচার মতো। যারা পঁচা কাদা মাটির ভেতর থেকে খাবার খুঁজে বের করে আনে। যুক্তরাষ্ট্রের এসব সাংবাদিকরা সে সময়টায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। করপোরেট ও রাজনৈতিক অপরাধ কর্ম এবং দুর্নীতি অনিয়ম খুঁড়ে খুঁড়ে বের করে প্রকাশ করেছেন জনস্বার্থে। মাকরেকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে শ্রমিক শ্রেণীর দরিদ্রতা, অনিরাপদ কর্ম পরিবেশ, শিশু শ্রম, পতিতাবৃত্তি সহ সমাজের করুণ চিত্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে মাকরেকারদের অপরিহার্যতা নিয়ে ১৯০৬ সালে মন্তব্য করেন তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট থিয়েডোর রুজভেল্ট। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতেই স্থান পায় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। যদিও তা পূর্ণতা পায় মাকরেকারদের সাহসী সাংবাদিকতাকালে

গত দশকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা “অপারেশন কারওয়াশ; তছনছ করে দেয় ল্যাটিন আমেরিকার ডজন খানেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সহ পদস্থ কর্মকর্তাদের। এ প্রতিবেদনে উঠে আসে তাদের ঘুষ দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রে সত্তুরের দশকে ওয়াটার গেট কেলেংকারী ফাঁস করেন ওয়াশিংটন পোষ্টের অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং কার্ল বার্নস্টেইন। এ ঘটনায় পদত্যাগে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট নিক্সন। ভিয়েত নাম যুদ্ধের গোপন তথ্য ‘দ্য পেন্টাগণ পেপারস’ প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট ঝড় তুলে বিশ্বব্যাপী। আন্তর্জাতিকভাবেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। ‘পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস প্যাপারস’র মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিষয় উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। বাংলাদেশে ক্রেস্টের সোনায় ১২ আনা খাঁদ। কিংবা রূপনগর প্রকল্পের বালিশ কান্ড অনুসন্ধানী সাংবাদিকতারই অংশ। তবে চলমান দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধ কর্মেও তুলনায় তা খুবই নগন্য। রাষ্ট্রিয় তথ্য জানার সাংবিধানিক অধিকার সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।

রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিক সমাজের ঐক্য জনমনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে। সাম্প্রতিককালে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের প্রচারনা । জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে সাংবাদিকদের। কারাগারে অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন অনেক সাংবাদিক। কিন্তু কখনো কোন ঘটনার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায়নি সাংবাদিকদেরকে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং নিজেদের পেশাগত মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। জনস্বার্থে রাষ্ট্রীয় তথ্যের সন্ধানকারী সাংবাদিককে চুরি চামারির ঘটনায় ফাঁসানো অনঅভিপ্রেত ও অনৈতিক অনুশীলন। সরকারের ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণেই কাজ করেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশেও সৃষ্টি হোক সেই প্রেক্ষাপট।