কুয়াশা ফিরিয়ে দিল বিমান ফোবিয়া

শাকিল রিয়াজ
এয়ারওয়েজের টিকেট কাটা ছিল ইকোনমি ক্লাসের। প্লেনে বোর্ডিং করার সময় ডেস্কের মেয়েটি বললো, স্যার আপনার টিকেট আপগ্রেড করে দেয়ার নোট এসেছে। আপনি বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করবেন। কোনও বাড়তি খরচ ছাড়াই। আমি অবাক হলাম। বিজনেস ক্লাসের টিকেটের দাম ইকোনমি ক্লাসের পাঁচ গুণ বেশি। স্টকহোম-ঢাকা ইকোনমি ক্লাসের দাম যদি ১২ হাজার ক্রাউন (১ লাখ ৩০ হাজার টাকা) হয় তবে বিজনেসের দাম প্রায় ৬০ হাজার ক্রাউন। জিজ্ঞাসা করলাম কেন এই বাড়তি সুবিধা। কম্পিউটারে আরেকবার চোখ বুলিয়ে জানালো, ২০ বছর ধরে আপনি কাতার এয়ারওয়েজের প্রিভিলেজ ক্লাবের মেম্বার। অনেক কিউ-মাইল এবং পয়েন্ট জমা আছে। এসব সহ আরো যেন কী কী বললো। শেষে জানালো, আমাদের বিজনেস ক্লাবের সিট খালি থাকলে এভাবে আমরা কাউকে কাউকে পিক করি যাদের সঙ্গে আমাদের আস্থার সম্পর্ক রয়েছে।
অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আপগ্রেডেড বোর্ডিং কার্ড নিয়ে প্লেনে উঠলাম।
খরচ অনেক বেশি বলে জীবনে মাত্র ২/৩ বার বিজনেসে ভ্রমণ করেছি। তাও নিজের ইচ্ছায় নয়, অন্যের ইচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে। এবারের বাইরে আরও একবার ফাও ভ্রমণ করেছি বিজনেসে। সেবার ব্যাংকক থেকে স্টকহোমের পথে থাই এয়ারওয়েজ আমাকে ইকোনমি থেকে “তুলে” বিজনেসে সরিয়ে নেয় “চোখে চোখে” রাখার জন্য। শাপেবর হওয়া এই ঘটনার পেছনে ছিল বাংলাদেশের এক অসৎ ইমিগ্রেশন কর্তা। আমার যাত্রার শুরু ছিল ঢাকা। ঘুষ চেয়ে না পেয়ে নোট দিয়েছিল আমার ভিসা হয়তো প্রকৃত ভিসা নয় এই বলে। ব্যাংকক থেকে প্লেন ছাড়ার পরপরই এক অফিসার এসে আমাকে বিজনেস ক্লাসে নিয়ে যায় এবং পাসপোর্টটি নিজের কাছে রেখে দেয়। বিজনেসের সুবিধা হাতছাড়া যেন না হয়ে যায় সে কারণে কোনও আর্গুমেন্টে যাইনি। স্টকহোমে নামার পর আমার পাসপোর্টসহ আমাকে সুইডিশ ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সেখানে অফিসারদের সঙ্গে এক পশলা হাসাহাসি করে ঘরে ফিরি। লাভের মধ্যে লাভ হয়েছিল সুদীর্ঘ পথটি বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ। এই মজার ঘটনাটি অন্য এক সময়ে ডিটেইলস বলা যাবে।
খুব বেশি না চড়লেও বিজনেস ক্লাসের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল বলে মনে মনে আপ্লুতই হলাম। শুয়ে-বসে, ভালমন্দ খেয়ে-দেয়ে, টিভি দেখে, প্রাইভেট কেবিনের আমেজ ও সার্ভিস সহযোগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যাবে। দেয়া গেলও।
প্লেনে আমার ঘুম হয় না। এই আরামেও ঘুম হলো না। এত এতবার প্লেনে চড়েও ভীতি কাটেনি।
এই ভীতি আসলে কাটেনা। প্রতিবারই টিকেট কাটার পর দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। প্লেন ক্র্যাশের উপর বিভিন্ন টাইপের ডকুমেন্টারি দেখি। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ শূন্য আকাশে হাওয়া হয়ে গেল। জার্মান উইংসের ফ্লাইট ৯৫২৫ এর পাইলট যাত্রীবোঝাই বিমানটিকে নিয়ে পাহাড়ে আছড়ে ফেললো। কিংবা এয়রোপেরুর ফ্লাইট ৬০৩, মধ্যরাতে মায়ামি থেকে চিলির উদ্দেশে যাত্রা করে সমুদ্রে ভেঙ্গে পড়লো। হাইট ইনস্ট্রুমেন্ট ভুল সঙ্কেত দেয়ায় পাইলটরা ভেবেছিল প্লেনটি দশ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছে। কুচকুচে কালো অন্ধকারে তারা টেরও পায়নি যে প্লেন উড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ ছুঁইছুঁই করে। উচ্চতা একটু কমাতেই ধপাস। আর এই তো সপ্তাহ দুই আগে, আমার কাতার এয়ারওয়েজের টিকেট কাটার পর, আলাস্কা এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ এর একটি ফ্লাইটের দরোজা মধ্য আকাশে খুলে উড়ে গিয়েছিল। আমার জীবনে বিমান ভ্রমণ আর প্যানিক এ্যাটাক যেন দুজনে দুজনার।
কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না। সংসারে বাচ্চাকাচ্চা এসে পড়ায় প্লেনে বসে ড্রামা কুইনের মতো কাঁপাকাঁপির বদলে হিরো টাইপের বাপের ভূমিকায় নামতে হলো। বাচ্চাদের ভীতি দূর করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে অনেক সাহস দিতাম। নিজের ফোবিয়া লুকিয়ে রেখে ওদের কাছে নিজেকে হিরো বানাতাম। প্লেন কাঁপাকাঁপি করলে কাঁধে হাত দিয়ে বলতাম, এসব কিছু না বাবা, শুধুই টার্বুল্যান্স। প্লেন দুর্ঘটনায় পড়লে কী কী করতে হয় ওদের জানাতাম আর ভেতরে ভেতরে আতঙ্কে মরে যেতাম। প্রতিনিয়ত সন্তানদের এভাবে সাহস ও সান্ত্বনা দিতে দিতে আমিও একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করলাম যে ওসব আসলেই কিছু না। তাছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ কিছু কিছু জিনিস শেখেও। ওই যে পায়ের নিচে হঠাৎ দ্রুম দ্রুম ক্যাচক্যাচ শব্দ, আগে মনে করতাম পাটাতনের কোনও অংশ হয়তো ভেঙ্গে খুলে পড়ছে। এখন বুঝি, ওসব গিয়ার কম্পার্টমেন্ট থেকে চাকা রিলিজ হওয়ার অথবা ফের ঢুকে যাবার আওয়াজ। জানালা দিয়ে চোখের সমান্তরালে হঠাৎ জমিন ভেসে উঠলে এখন বুঝি, প্লেন উল্টে যায়নি বরং বাঁক নিয়েছে। হঠাৎ বাম্প করলে এখন বুঝি বিমান এয়ার পকেটে হিট করেছে, মটর বন্ধ হয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছে না। আমি মোটামুটি নিরাময় হলাম বলে বিশ্বাস হলো।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অবশ্য পুরোপুরি উবে যায়নি। পাইলট যদি ঘুমিয়ে পড়ে? ফ্লাই করার ঠিক আগের মুহূর্তে শেষবারের মতো কন্ট্রোল প্যানেলে চোখ বুলিয়ে সব ঠিকঠাক আছে কীনা দেখেছে কি? টাওয়ার থেকে কি সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে? শুনেছি, প্লেন শুধুমাত্র কন্ট্রোল টাওয়ারের দেখানো রুট ও দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে। কোনও নাশকতাকারী বসে নেই তো কন্ট্রোল রুমে?
সিট সোজা করে বেল্ট বাঁধার অনুরোধ এলো। শোয়া থেকে উঠে বসলাম। বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে গেছে প্লেন। আর মাত্র আধা ঘণ্টা। টার্মিনালে অধীর অপেক্ষায় বউ। মা, ভাই-বোনরা বাসায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনতে ব্যাকুল। ল্যাপটপ বন্ধ করে ব্যাগে ভরলাম। জুতা পায়ে দিলাম। জুসে চুমুক দিতে দিতে টিভি স্ক্রিনে প্লেনের ফ্রন্ট ক্যামেরা ওপেন করলাম। পাইলট ভিউ। কিছু দেখা যাচ্ছে না কেন? ডাউন ক্যামেরায় ক্লিক করেও কিছু দৃষ্টিগোচর হলো না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। মেঘ আর কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। টের পেলাম প্লেন নামতে শুরু করেছে। রুট ম্যাপে দেখাচ্ছে আর মাত্র দশ মিনিট। শক্ত হয়ে বসলাম। ল্যান্ডিং সমস্যায় পড়া কিছু কিছু বিমানের ইউটিউব ক্লিপ মাথার ভেতর অটো প্লে হচ্ছে। হোক। আমি এখন ওই স্তর অনেক আগেই পার হয়ে এসেছি। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার হিম্মত হয়েছে।
চোখ বন্ধ করে ছিলাম। কতক্ষণ, মনে নেই। পাশের কেবিনের যাত্রীর উদ্বেগমাখা কণ্ঠে চোখ খুললাম।
— কী ব্যাপার বলুন তো? ল্যান্ড করছে না কেন?
আমার পাশের কেবিনের যাত্রী নেদ্যারল্যান্ডের একটি মেয়ে। ইউনাইটেড ন্যাশন্সের একটি অর্গানাইজেশনের কর্তা। তিন বছর হয়েছে ঢাকায় পোস্টিং। পরিবারের সঙ্গে ক্রিস্টমাসের ছুটি কাটাতে আমস্টার্ডাম গিয়েছিল। এখন কাজে ফিরছে। হাই হ্যালো ছাড়া তেমন কথা হয়নি এ পর্যন্ত। মেয়েটির নাম রোজ।
রোজের কথায় টিভি স্ক্রিনে রিয়েল টাইম ফ্লাইট ট্রেকিং ম্যাপ ওপেন করলাম। এ কী! আধা ঘণ্টা ধরে ঢাকা ও আশপাশের আকাশে চক্কর দিচ্ছে প্লেন। এখন পর্যন্ত কোনও এনাউন্সমেন্ট আসেনি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। ঘন কুয়াশা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। রোজকে বললাম, সম্ভবত কুয়াশার কারণে ল্যান্ড করতে পারছে না। রোজ কিছুটা ভীত হলো। বললাম, এ তেমন কিছু না। এরপর আলাপ জমে উঠলো রোজের সঙ্গে। বাংলাদেশে ওর চাকরি ও বসবাসের অভিজ্ঞতা বললো। আমার নেদ্যারল্যান্ড ভ্রমণের কথা জানালাম। কেওকেনহফের বিখ্যাত টিউলিপ বাগানের প্রসঙ্গ উঠলে রোজের চেহারা উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। বাংলাদেশের লাল শাক আর মুড়ি অনেক পছন্দ রোজের। বাংলায় বললো, “উনেক মোজা”। তবে ঢাকার ট্র্যাফিক জ্যাম আর পলিটিক্স ওর কাছে মোজা লাগেনা। বললাম, তুমি তো ইলেকশন টাইমে এখানে ছিলে না। মিস করেছো।
তুমি একে ইলেকশন বলছো?
রোজের কথায় মনে হলো আলাপ এবার জমবে। জমেছেও। অনেক কিছুই জানে সে। বাংলাদেশের রাজনীতির টার্বুল্যান্স নিয়ে কথা বলতে বলতে দেখি আমাদের প্লেনটিও টার্বুল্যান্সে পড়েছে। কুয়াশা ভেদ করে যখনই ল্যান্ড করার জন্য নিচে নামার চেষ্টা করছে তখনই ভয়ঙ্করভাবে কেঁপে কেঁপে উঠছে ফ্লাইট। আবার ফিরে আসছে উপরে। ম্যাপে দেখলাম, ঘণ্টাখানেক ধরে এই চেষ্টা চলছে। এবার নিয়মিত বিরতিতে ঘোষণা আসছে। সতর্ক বার্তা। সিট বেল্ট যেন না খোলা হয়। আশেপাশের লুজ অবজেক্টগুলো একটু আগে সরিয়ে নিয়ে গেছে বিমানবালা। ল্যাপটপসহ আমাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যাগে ঢুকিয়ে পায়ের নিচে রেখে দেয়ার অনুরোধ করা হলো। ফ্লাইট এটেন্ডেন্টদের প্রতি নির্দেশ এলো যার যার সিটে বেল্ট বেঁধে বসে থাকার। আমার কেবিন জানলার পাশে। উৎকণ্ঠিত রোজ জানতে চাইলো বাইরে কিছু দেখা যায় কীনা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, কুয়াশার গভীর জালে আটকা পড়ে গেছি। ভেতরে উদ্বেগ চাপা দিয়ে রোজকে বললাম, ভয়ের কিছু নাই। কুয়াশা কেটে গেলেই ল্যান্ড করবে। বললাম ঠিকই, কিন্তু সেই প্যানিক, যা আমি সারা জীবন ধরে নিজেকে প্রবোধ দিয়ে দিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি এবং কিছুটা সফলও হয়েছি, তা আবার ভর করতে শুরু করলো। রোজের সঙ্গে আবারও দেশের পলিটিক্স, মিডিয়া, করাপশন নিয়ে আলাপের চেষ্টা করলাম। বড় বড় টার্বুল্যান্সে মনযোগ দিলে ছোট ছোট টার্বুল্যান্স ভুলে থাকা যায় এই ভরসায়। মনে হলো রোজ ভুলতে পেরেছে।আমি পারিনি। বারবার কথায় খেই হারিয়ে ফেলছি। রোজ এমন করে তাকাচ্ছে কেন? আমার কথায় কি গড়মিল হচ্ছে? স্যাঙ্কশন বিষয়ে একটু আগে যা বলেছি তার সঙ্গে কি এখনের কথার মিল নাই?
আচ্ছা, কুয়াশা যদি না কাটে, কী হবে? হাইট ইন্সট্রুমেন্ট সঠিক সঙ্কেত দিচ্ছে তো? কন্ট্রোল টাওয়ারের অফিসারেরা একটু উষ্ণতার জন্য সিগারেট ফুঁকতে বের হয়নি তো? আচ্ছা, এভাবে চক্কর খেতে খেতে যদি জ্বালানি ফুরিয়ে যায়? ট্র্যাকিং ম্যাপে দেখছি ৮/১০ বার চক্কর খেয়েছে বিমান। ঘণ্টা দুই কেটে গেছে। দেখতে পেলাম, কোলকাতার দিকে ছুটছে এবার। জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় কোলকাতায় ল্যান্ড করবে সম্ভবত। না, কোলকাতা আর যায়নি।যশোর পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসছে ঢাকার দিকে। অন্য কোনও সমস্যা নেই তো? বিমানবালাদের এমন নার্ভাস দেখাচ্ছে কেন? ওরা কি আরও কিছু জানে যা আমরা জানি না? ঢোক গিলে হাসিমুখে রোজকে বললাম, কুয়াশা হয়তো কেটে গেছে। এবার নামতে পারবো। রোজ আমাকে সাইড করে মাথা ঝুঁকে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। আমি ওর চেহারা দেখে বুঝার চেষ্টা করলাম। নিজে তাকানোর সাহস করলাম না।
ঢাকায় ফিরে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে আরো দুই চক্কর দিয়ে ল্যান্ড করার ঘোষণা দিলেন পাইলট। কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে কোন্ পয়েন্টে কুয়াশা কম। সে পথ ধরেই এবার ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা।
চেষ্টা সফল হলো। হাফ ছেড়ে বাঁচা রোজের দিকে তাকিয়ে বেশ ভাব নিয়ে বললাম, এতো ঘাবড়ালে হয়! রোজ লজ্জা পেয়ে বললো, আমার একটু-আধটু এয়রোফোবিয়া আছে। আমি সহানুভূতির হাসি উপহার দিয়ে বললাম, বাই দ্য ওয়ে, নাইস টু মিট ইউ।
প্লেন ঠিকঠাক মতোই ল্যান্ড করেছে। আমি বীরদর্পে মাতৃভূমির মাটি স্পর্শ করলাম। বউকে হাগ করে গাড়িতেও উঠলাম। সব ঠিকঠাক। শুধু একটি বিষয় নড়বড়ে হয়ে গেল। লুডু খেলায় পাকা গুটি খেয়ে ফেলার মতো আমার এতোদিনে গড়ে তোলা আত্মবিশ্বাসকে খেয়ে দেয়া হয়েছে। আবার শূন্যে ফিরে এসেছি। আবার শুরু থেকে শুরু করার অভিযানে নামতে হবে। আবার একটি ছক্কার অপেক্ষা। ছক্কা না পড়লে হয়তো আর প্লেনে ওঠা হবে না।
পরিচিতি: শাকিল রিয়াজ, সুইডেন প্রবাসী কবি