Category সাক্ষাৎকার

শশী থারুরের সাক্ষাৎকার : এক লাখ পাউন্ড ঘুষের বিনিময়ে ঢাকার নওয়াব বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করেছিলেন

শশী থারুরের সাক্ষাৎকার : এক লাখ পাউন্ড ঘুষের বিনিময়ে ঢাকার নওয়াব বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করেছিলেন (ভারতীয় পার্লামেন্টে কংগ্রেস দলীয় সদস্য, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, লেখক ও তুখোড় বক্তা শশী থারুর তাঁর যোগ্যতাবলেই এখন ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে এক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯৫৬ সালের ১০ মার্চ তিনি লন্ডনের কেরালার এক দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বয়স যখন দুই বছর তখন তাঁর বাবা-মা তাঁকে নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন’স কলেজ থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইডি করেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। পেশাজীবন শুরু করেন জাতিসংঘে এবং ২০০৬ সালে ভারত জাতিসংঘ মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার সেক্রেটারি অফ স্টেট কন্ডোলিজা রাইস বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র মহাসচিব হিসেবে কোনো শক্তিশালী ব্যক্তিকে দেখতে চায় না। এরপর থারুর জাতিসংঘের চাকুরি ছেড়ে ২০০৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন এবং তখন থেকে তিনি তিন বার কেরালার একটি আসনে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারে থারুর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। থারুর বহু সংখ্যক ফিকশন ও নন-ফিকশন গ্রন্থের রচয়িতা এবং ভারতের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতির ওপর, বিশেষ করে ব্রিটিশের ভারত লুণ্ঠনের ওপর তাঁর গ্রন্থ অত্যন্ত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি বেশ কয়েকটি দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখেন। থারুরের চাচা পরমেশ্বরন থারুর ভারতে ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শশী থারুরের বাবা ‘দ্য স্টেটসম্যান’ গ্রুপের বিজ্ঞাপন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন।) “এন এরা অফ…

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের সাক্ষাৎকার

 অনুবাদ: বিপাশা মন্‌ডল নোবেল বিজয়ী কলাম্বিয়ান লেখক ও বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। ৮৭ বছর বয়সে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে জীবনাবসান ঘটে এই লেখকের। তার লেখা ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অব সলিচ্যুড’ বিশ্বজুড়ে ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। মার্কেজের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্যারিস রিভিউতে ছাপা হওয়া তার এই সাক্ষাৎকারটি বাংলানিউজের পাঠকের জন্য অনূদিত হলো। প্যারিস রিভিউ’র পক্ষে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন পিটার এইচ. স্টোন।গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের এই সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছে তাঁর অফিস কাম স্টুডিওতে। মেক্সিকো শহরের দর্শনীয় বর্ণময় ফুলে পরিপূর্ণ একটি পুরনো কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন স্যান এঞ্জেল ইনের মধ্যে তার বসতবাড়ির ঠিক পেছনে এটা অবস্থিত। প্রধান বাড়ি থেকে স্টুডিওটি অল্প একটু হাঁটা পথের দূরত্বে। একটি বিস্তৃত নিচু দালানবাড়ি, এটাকে দেখে মনে হয় এটা আসলে একটি অতিথিশালা হিসেবে নকশা করা হয়েছিল। এর এক প্রান্তে, একটি পালঙ্ক, দুটো ইজি চেয়ার, এবং একটি কাজ চালানো গোছের বার— মাথার উপরে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহের ব্যবস্থাসহ একটি ছোট সাদা ফ্রিজ। এই কক্ষটির সবচেয়ে মনোযোগ আকর্ষণকারী হচ্ছে বিষয়টি সোফার উপরে রাখা একটি ফটোগ্রাফ, একাকী গার্সিয়া মার্কেজ, একটি স্টাইলিশ ক্যাপ পরে আছেন, বাগানের মধ্যে খসে পড়া পড়ন্ত পাতার উপরে দাঁড়িয়ে আছেন যেন তাকে ঠিক অ্যান্থনি কুইনের মতো লাগছে। স্টুডিওর দূর প্রান্তে গার্সিয়া মার্কেজ তার ডেস্কে বসে ছিলেন। হালকা স্ফূর্তিযুক্ত পদক্ষেপে তিনি আমাকে অভিনন্দন জানাতে উঠে এলেন। নীরেট শরীরের অধিকারী তিনি, পাঁচ ফুট আট অথবা নয় ইঞ্চি লম্বা, যাকে আসলে মাঝারি ধরনের লড়াকুর মতো দেখাচ্ছিল— চওড়া বুক, তবে…