Category অনুবাদ গল্প

মাই স্টোরি

[ভারতের বিখ্যাত লেখিকা কমলা দাশ ১৯৩৪ সালে কেরালার মালাবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালে মারা যান। অর্ধশতাধিক উপন্যাস ও বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কমলা দাশ লেখালেখি করেছেন মালয়ালম ভাষায় এবং তিনি মালয়ালম ভাষার সেরা সাহিত্যিকদের অন্যতম।  তার বহু গ্রন্থ ইংরেজিসহ ভারতের প্রধান ভাষাগুলোতে অনুদিত হয়েছে। কমলা দাশ ভারতীয় নারীসমাজের মুক্তির নতুন পথপ্রদর্শন করেছেন তার লেখনীর মাধ্যমে। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই স্টোরি’ সত্যের প্রতি তার প্রেমের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। লক্ষ লক্ষ ভারতীয় পাঠক তার এই গ্রন্থ পাঠ করে তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। সমালোচনার কণ্টক তাকে বিদ্ধ করেছে, ক্ষতবিক্ষত করেছে। হুমকির মুখে পড়েছেন। এক পর্যায়ে হিন্দুধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করায় ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নতুন নাম গ্রহণ করেন ‘কমলা সুরাইয়্।া’ তিনি বলেছেন যে ধর্মান্তুরিত হওয়ায় তার আত্মীয়স্বজনরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। মৌলবাদী হিন্দুরা তাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। ইসলাম গ্রহণের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, ইসলামের সারল্য এবং এ ধর্মে নারীর নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা তাকে মুগ্ধ করেছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃত সত্য আল্লাহই ভালো জানেন।’ ভারতীয় সমাজে নারীর অমর্যাদাকর অবস্থা সম্পর্কে তার আত্মোপলব্ধি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিটি শয্যা হচ্ছে এক একটি ক্রুশ, যে ক্রুশে নারীকে প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করা হচ্ছে। মানুষ লালসার শিকার হয়, প্রেমে পড়ে না। আর নারী আত্মবিধ্বংসী প্রকৃত প্রেমে বিধ্বস্ত হয়।” কমলা দাশ তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই স্টোরি’র ভূমিকায় লিখেছেন, “প্রথম বার হৃদরোগে আক্রান্তু হবার পর ডাক্তার…